প্রায় দেড় দশকেরও বেশি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। পুরোটা সময় জুড়ে নানা ইস্যুতে আন্দোলনের ডাক দিয়েও ফল ঘরে তুলতে পারেনি দলটি। গেল বছরের প্রায় পুরোটা চেয়ারপার্সনের মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আন্দোলন করলেও তাতেও সফল হয়নি দলটি। তবে, নতুন বছরে সব হিসেব নিকেষ পাল্টে দিতে চায় বিএনপি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীর উত্তম বলেন, আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ একদিনে হয় না। ২০২২ সালের জুন মাসের আগেই এবার আমাদের আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ নিবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমরা জনগণ এবং প্রশাসন থেকে যে সাড়া পাচ্ছি তাতেই বুঝা যাচ্ছে জুনের মধ্যেই এসপার ওসপার কিছু একটা হয়ে যাবে।
দলটির নেতা মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, নতুন বছরে সরকারকে ক্ষমতা ত্যাগে যা যা করা প্রয়োজন তার সবই আমরা করবো। বেগম খালেদা জিয়াকে এই সরকার আর বিদেশে পাঠানোর দরকার নেই। এমনও হতে পারে তিনি একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন।
নেতারা বলছেন, এ লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে নিতে হবে নতুন কৌশল।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, আমাদের দলের কৌশল এবং অন্যান্য কিছু সমস্যা রয়েছে। নিজেদের দলের মধ্যে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে। স্বমন্বয়হীনতা আমাদের আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। এজন্য আমাদের ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছ্বাসেবক দল এবং বিএনপির একটি ঐক্যমতে আসতে হবে। অনেক জায়গায় তারা বিভক্ত।
বিএনপির সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ বলেন, সরকারকে এক হয় জনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে নয়তবা বাকশাল ঘোষণা করবে। পূর্বে বাকশাল ঘোষণা করার পর কি ঘটেছিল, ইতিহাস কি বলে সেটি আওয়ামী লীগের দেখা উচিত। ২০২২ ই হবে এই সরকারের বিদায়ের বছর।
তৃণমূল নেতাদের প্রত্যাশা, শিগগিরই কেন্দ্র থেকে আসবে কঠোর কর্মসূচির নির্দেশ।
দারুস সালাম থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এ সাজু বলেন, জনগণ এখন কোনঠাসা। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সহনশীল এবং বিএনপি যেভাবে জনগণকে সম্পৃক্ত করছে আমাএ মনে হয় আমরা সঠিক পথেই আছি।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাজী খায়রুজ্জামান শিপন বলেন, আমাদের আর পিছে হটার কোন রাস্তা নেই। আমাদের দাফনের কাপড় পড়ে হলেও বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য আন্দোলন করে যাবো।
সেরা টিভি/আকিব