ডেস্ক রিপোর্ট:
করোনা সংক্রমণ রোধে বুস্টার ডোজ হিসেবে এখন থেকে সবাইকে মডার্না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টার্স্ক কমিটির সদস্য সচিব ডাক্তার মোহাম্মদ শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ কথা জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের সবার জন্য ভ্যাকসিন পাওয়া সহজ করতেই এখন থেকে ফাইজারের পরিবর্তে তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ হিসেবে মডার্নার টিকা দিতে হবে। তবে স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ফাইজার টিকা দেয়ার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যেসব শিক্ষার্থী এরই মধ্যে প্রথম ডোজ ফাইজার নিয়েছেন তাদের জন্যেও দ্বিতীয় ডোজ ফাইজার টিকা সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ২৮শে ডিসেম্বর থেকে করোনার টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন ব্যক্তিরা বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৪০ হাজার ৫২৬ জন মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
গত ১৯ ডিসেম্বর দেশে পরীক্ষামূলক বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে বুস্টার ডোজ নেন দেশে প্রথম করোনার টিকা গ্রহণকারী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা ডি কস্টা। স্বাস্থ্য অধিদফতর বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্নার টিকা বেছে নিয়েছে।
দেশের ৬০ বছরের বেশি বয়সী ও করোনাকালে যাঁরা সম্মুখসারিতে থেকে কাজ করেছেন, তাঁরা করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ আগে পাবেন। ষাটোর্ধ্ব ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের মধ্যে যাঁরা দ্বিতীয় ডোজ ছয় মাস আগে নিয়েছেন, তাঁরা আগে বুস্টার ডোজ পাবেন। বুস্টার ডোজের জন্য আলাদা করে নিবন্ধন করতে হবে না।
সেরা টিভি/আকিব