ডেস্ক রিপোর্ট: গত ১৪ মে থেকে সিলেটে শুরু হয় প্রথম দফার বন্যা। তখন ঐ বন্যা স্থায়ী হয়েছিল দুই সপ্তাহ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় এক হাজার কোটি টাকা, বলে জনিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
উক্ত বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও শুরু হল দ্বিতীয় দফার বন্যা। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হুহু করে বাড়ছে পানি। প্লাবিত হয়েছে সিলেট নগরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো সিলেট অঞ্চল। শহরের এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে পানি ওঠার কারণে শুক্রবার বিকাল থেকে বন্ধ রয়েছে বিমান চলাচল।
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা।
সিলেটের অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক পানির নিচে চলে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যাবস্থা। বিশুদ্ধ পানির সংকট যেমন বেড়েছে তেমনই বেড়েছে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব। বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়ে জেলার প্রায় দুই লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন।
এদিকে বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। তবে পর্যাপ্ত নৌকা ও প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রী না থাকার কারণে তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে। যাঁদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে, তাঁদের আশ্রয়কেন্দ্রে কিংবা অন্য নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হচ্ছে। খাদ্যসংকট দূর করতে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে সেনাবাহিনী কাজ করবে।
সেরা টিভি/আকিব