দেশজুড়ে ভয়াবহ বন্যায় ঠিক কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরুপন করা না গেলেও এখন পানি কমার সাথে সাথে ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হচ্ছে।
তবে পানি কমে গেলেও কমছে না দুর্ভোগ। নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নদীর পানিও কমেছে কিছুটা। তবে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। প্রকোপ বেড়েছে পানিবাহিত নানা রোগের।
সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনও জেলার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। ১০টি উপজেলার ৭৭ ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। জেলায় ৩৬২ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এরই মধ্যে ৫৯৩ টন চাল, ৩৩ লাখ টাকা ও ৪ হাজার ৯৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তবে এ সহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত ত্রান ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান তারা।
ডেস্ক রিপোর্ট: