ডেস্ক রিপোর্ট:
দেশজুড়ে অসহনীয় মাত্রায় শুরু হয়েছে লোড শেডিং। দেশের প্রতিদিনের বিদ্যুৎ চাহিদা মিটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে। এদিকে বিশ্ববাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী। যার ফলে আমদানি বন্ধ করে দেশের গ্যাস থেকেই চাহিদা পূরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফলে কমে গেছে দেশে গ্যাসের সরবরাহ।
গ্যাসসংকটে বেশ কিছু গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তাই গত রবিবার থেকে হঠাৎ করে সারা দেশে বেড়ে গেছে লোড শেডিং।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্যাসসংকটের কারণে গত কয়েক দিনে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। এদিকে জ্বালানি তেলের দামও চড়া। দিনে ১০০ কোটি টাকার বেশি লোকসান করছে বিপিসি। তাই তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে লোড শেডিং দিতে হচ্ছে। ’
বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, গ্যাসসংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় আগামী বেশ কিছুদিন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। গত রাতে রাজধানীতে বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান ডিপিডিসি গ্রাহকদের মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠিয়ে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ বরাদ্দ না পাওয়ায় লোড শেডিং করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
তবে বিশ্ববাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণেরও কোন পথ দেখছেন না বিশেষজ্ঞগণ।
সেরা টিভি/মামুন