সুস্থ থাকার জন্য মানুষ অনেক কিছুই করে থাকে তার মধ্যে শরীর চর্চা অন্যতম। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যেমন দরকারি তেমনি শরীরচর্চা ও সমান দরকারি।তাই স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চার কোন বিকল্প নেই। দিন দিন আমাদের রোগব্যাধি যেমন, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার ইত্যাদির প্রকোপ বহু গুণে বেড়েছে। নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা এগুলো প্রতিরোধ করে।
প্রতিদিন হাঁটলে, দৌড়ালে কিংবা শরীরচর্চা করলে রক্ত চাপ বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর ফলে রক্তনালিতে চর্বির পুরু আস্তর জমতে পারে না, ফলে হৃদরোগ হওয়ার ভয় কমে যায়। এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, হাড়ের ক্ষয় কম হয় এবং ক্যান্সার হওয়ার ভয় থাকে না।
শরীরচর্চা করলে মস্তিষ্ক থেকে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়। এ সকল রাসায়নিক উপাদান চিত্ত প্রফুল্ল করে এবং শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি চেহারায় লাবণ্য ও ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। ফলে আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাবোধ অনেক বেড়ে যায়। দিনের টানটান উত্তেজনাময় কর্মকাণ্ডের পর আধঘণ্টা হাঁটা, জগিং করা কিংবা হাল্কা ব্যায়াম অনেক কাজে দেয়।
ব্যায়াম এবং শরীরচর্চার ফলে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে অতিরিক্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ হয়। এর ফলে আমাদের হৃদযন্ত্র এবং রক্তনালি সচল থাকে। এর ফলে সমস্ত শরীরে একটি সুস্থ প্রাণস্পন্দন ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। এটা আমাদের কর্মস্পৃহা বাড়ায়, কাজে-কর্মে ও লেখাপড়ায় মনোসংযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত উপকারী। ব্যায়াম এর ফলে শারীরিক শ্রম বেশি হওয়াতে শরীর এ ক্লান্তির পরিমানও বেশি থাকে তাই অনিদ্রা দূর করে, আবার রক্ত প্রবাহ সহ অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপ সঠিকভাবে হওয়ায় অতি নিদ্রাও হ্রাস করে। নিয়মিত যিনি শরীরচর্চা করেন তার ঘুম আসার কোনো সমস্যা হয় না, গভীর ঘুম হয়।