বরিশালে গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
বরিশালে গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় - Shera TV
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ন

বরিশালে গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায়

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

রবিবার বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তার জন্য গঠিত রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এই তালিকায় ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সরকারের হেফাজতে যেসব দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যাবে তাই প্রকাশ করা যায়’।

অথচ কথিত ‘দালিলিক প্রমাণ’যুক্ত এই রাজাকারের তালিকায় ঢুকে গেছে গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধার নাম! বরিশালের বামপন্থী রাজনৈতিক দল বাসদের জনপ্রিয় নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্তীর বাবা এড. তপন কুমার চক্রবর্তী এবং ঠাকুমা উষা রানি চক্রবর্তীর নাম ঢুকানো হয়েছে রাজাকারের তালিকায়! যেখানে তপন কুমার ৬৫ নম্বর রাজাকার এবং উষা রানি ৪৫ নম্বর রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

যদিও তপন কুমার চক্রবর্তী একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, ক্রমিক নং ১১২ পৃষ্টা ৪১১৩। তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও পেয়ে থাকেন! এই মারাত্মক ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল সাইট ফেসবুকে ডা. মনীষা চক্রবর্তী একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মানুষ প্রশ্ন করছেন, রাজাকারের তালিকার নামে আসলে কী হয়েছে?

ফেসবুকে ডা. মনীষা চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করার পুরস্কার পেলাম আজ। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগকে। সদ্য প্রকাশিত রাজাকারদের গেজেটে আমার বাবা এবং ঠাকুমার নাম প্রকাশিত হয়েছে। আমার বাবা এড. তপন কুমার চক্রবর্তী একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা,ক্রমিক নং ১১২ পৃষ্টা ৪১১৩। তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও পেয়ে থাকেন! আজ রাজাকারের তালিকায় তিনি ৬৫ নাম্বার রাজাকার।’

‘আমার ঠাকুরদা এড সুধির কুমার চক্রবর্ত্তীকে পাকিস্থানি মিলিটারি বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তিনিও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর সহধর্মিণী আমার ঠাকুমা উষা রানী চক্রবর্ত্তীকে রাজাকারের তালিকায় ৪৫ নম্বারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য আমার রাজনীতি করার খেসারত দিতে হচ্ছে আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে। ধন্যবাদ আওয়ামীলীগ সরকারকে।’

‘আমার দল বাসদ আমাকে শিখিয়েছে অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করাকে। মিছিল থেকে গ্রেফতার করে থানায় নির্যাতন করে ওরা বলেছিল যে আন্দোলন যেন না করি, নির্বাচনে যেন অংশ না নিই। রাজী না হওয়ায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অজামিনযোগ্য মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ করেছে। আমরা জেল খেটেছি, নির্যাতন সহ্য করেছি কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি।’

‘ভয় দেখিয়ে বা বিপদে ফেলে আমাদের কিছু করা যাবে না। অভুক্ত, অর্ধভুক্ত গরীব খেটে খাওয়া মানুষ আছে আমাদের দলের সাথে। আছে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী। অতীতের মতো আজ এবং আগামীতে আপনাদের পাশে পাবো সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।’

এদিকে বরিশাল বাসদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ডা. মনীষার পরিবারবর্গের নাম রাজাকারের তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। বাসদের নেতাকর্মীদের নানাভাবে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ডা. মনীষার পরিবারের সবাই মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত। রাজাকারের তালিকায় দুই মুক্তিযোদ্ধার নাম চলে যাওয়ায় এই তালিকার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসদের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় মানুষ।

সূত্র: কালের কন্ঠ

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360