নকলবাজ পরীক্ষার্থীরা কোথাও থেমে নেই! পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য নকল করার নিত্য নতুন উপায় খুঁজে বের করেন তারা। আর তাদের ধরতে শিক্ষকরাও বসে নেই। শিক্ষকরা নিরন্তর ‘রণ কৌশল’ বদলাতে থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেডিট’য়ে ভাইরাল হওয়া এক শিক্ষকের কাহিনি সব কিছুকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মিরর’ একটি ছাত্রের রেডিট অ্যাকাউন্টের পোস্ট উল্লেখ করে নকল ধরারা জন্য এক শিক্ষকের কৌশলের খবর প্রকাশ করেছে। তবে তারা শিক্ষক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করেনি। মিরর জানায়, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষক ছাত্রদের জন্য এমন ফাঁদ পেতে ছিলেন যে তাতে ১৪ জন ছাত্র পা দিয়ে ফেঁসে গেলেন!
রেডিট নামক ওই সাইটে এক ছাত্র লেখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জনিয়ারিংয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছিল। সেখানে একটি প্রশ্ন দু’টি ভাগে এসেছিল। প্রথম অংশের উত্তর কেউ কেউ লিখতে পারলেও দ্বিতীয় অংশের অদ্ভুত প্রশ্নের উত্তর কারো জানা ছিল না। কারণ সেটি সিলেবাসে ছিল না। ফলে অনেকেই পরীক্ষা দিতে দিতে টয়লেটে যান। তাদের মধ্যে কয়েক জন টয়লেটে গিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে ‘চেগ’ নামক একটি অ্যাপ তথা ওয়েবসাইটে গিয়ে উত্তর খুঁজে এসে খাতায় লিখে দেন।
আর তাতেই বিপাকে পড়েন ওই শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার ফল বের হওয়ার পর দেখা যায়, পরীক্ষায় বসা ৯৯ জনের মধ্যে ১৪ জনকে প্রশ্নটিতে শূন্য দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের ইমেল করে পরীক্ষায় নকল করার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন ওই শিক্ষক।
জানা যায়, আসলে পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল এক মাস আগেই। ছাত্ররা ভেবেছিলেন ‘চেগ’ নামের ওয়েবসাইটটির কথা শিক্ষকরা জানেন না। কিন্তু ওই শিক্ষক এক মাস আগেই চেগ’য়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেন। সেখানে পরীক্ষায় যে অদ্ভুত প্রশ্ন এসেছিল, তার একটি উদ্ভট উত্তর লিখে পোস্ট করে দেন। পরে পরীক্ষার্থীরা যখন ওই প্রশ্নটির উত্তর দিতে পারেননি, তাদের কয়েক জন চেগ’য়ে লগ-ইন করে ওই প্রশ্নটিই টাইপ করেন। আর সেখানে শিক্ষকের আপলোড করা ভুল উত্তরটিই বের হয়ে আসে। ১৪ জন সেই উত্তর হুবহু খাতায় লিখে দেন। ফলে তাদের অসদুপায় ধরতে কোনো অসুবিধা হয়নি ওই শিক্ষকের। নকলবাজ ছাত্রদের ওই প্রশ্নে শূন্য দেওয়া হয়। এবং বাকি ছাত্রদের ওই প্রশ্নে ফুল মার্কস দিয়ে দেন শিক্ষক।
সেরা নিউজ/আকিব