স্পোর্টস ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ঢাকার প্রথম পর্ব শেষ। আজ শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম পর্ব। টি-২০ টুর্নামেন্টে সাত দল প্রথম চার দিনে খেলেছে ৮ ম্যাচ। সর্বোচ্চ ৩টি করে ম্যাচ খেলেছে ঢাকা প্লাটুন, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডার। ২টি করে ম্যাচ খেলেছে রাজশাহী রয়্যালস, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও রংপুর রাইডার্স এবং একটি খেলেছে খুলনা টাইগার্স। আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত দল রাজশাহী ও খুলনা। দুটি করে জয় রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রামের। টানা তিন হারে পয়েন্ট টেবিলের সবার তলানিতে সিলেট। আট ম্যাচ হলেও সেঞ্চুরির দেখা পায়নি ঢাকায়। তবে হাফসেঞ্চুরি হয়েছে ১১টি। হ্যাটট্রিকও হয়নি। সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস ঢাকা প্লাটুনের ১৮২/৪। সর্বনিম্ন ইনিংস ৬৮, রংপুর রাইডার্সের। ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস মোহাম্মদ মিথুনের ৮৪* এবং ব্যক্তিগত সেরা বোলিং থিসারা পেরেরার ৫/৩০।
ঢাকায় খেলা শেষ করে গতকাল দলগুলো উড়ে গেছে চট্টগ্রামে। বন্দরনগরীতে আজ শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় পর্ব। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম খেলায় মুখোমুখি হবে আসরের দুই অপরাজিত দল রাজশাহী রয়্যালস ও খুলনা টাইগার্স। দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডার। দুই দলের এটা চার নম্বর ম্যাচ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বিসিবি এবার বিপিএলের বিশেষ আসরের আয়োজন করেছে। নামকরণ করেছে ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাতিয়েছেন বলিউডের দুই তারকা সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। গান গেয়েছেন সনু নিগাম, কৈলাশ খের, জেমস।
প্রথম চার দিনে আট ম্যাচের কোনো ইনিংসেই দুইশ ছোঁয়নি স্কোর। সর্বোচ্চ ৪ উইকেটে ১৮২ রান করেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার ঢাকা প্লাটুন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর ১৮০ রানও ঢাকার। সর্বনিম্ন রংপুর রেঞ্জার্সের ৬৮। আসরে সেঞ্চুরি হয়নি একটিও। যদিও আগের ৬ আসরে সেঞ্চুরির সংখ্যা ১৮টি। ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল একাই করেছেন ৫টি। এবারের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এখন পর্যন্ত সেঞ্চুরি হয়নি। হয়তো ব্যাটিং স্বর্গ চট্টগ্রামে হতেও পারে! প্রথম পর্বে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর সিলেটের মিথুনের। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৮৪ রানের হার না মানা ইনিংসটি খেলেন মাত্র ৪৮ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন রংপুরের ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। এছাড়া দানুস শানাকা ৭৫*, তামিম ইকবাল ৭৪, রিলি রুশো ৬৪*, এনামুল হক বিজয় ৬২, ইমরুল কায়েস ৬১, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৬০*, হজরতউল্লাহ জাজাই ৫৬*, রহমতউল্লাহ গুরবাজ ৫০ ও চ্যাডউইকেট ওয়ালটন ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। শানাকা তার ইনিংসে ছক্কা মারেন ৯টি এবং সবচেয়ে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি রহমতউল্লাহর ১৮ বলে। প্রথম পর্ব শেষে ৩ ম্যাচে ১১৭ রান করে সবার উপরে ইমরুল ও ওয়ালটন। শয়ের উপর স্কোর করেছেন দুজন ছাড়াও মিথুন (১১২), তামিম (১১০), সৈকত (১০৯) ও বিজয় (১০০)।
প্রথম পর্ব শেষে হ্যাটট্রিক হয়নি। তবে স্পিনারদের তুলনায় ভালো করছেন পেসাররা। অবশ্য সেরা বোলিং পারফরম্যান্স শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরার। ৩০ রানে নেন ৫ উইকেট। ৩ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ৭টি। ওভার প্রতি স্ট্রাইক রেট ৯.৫৭। তবে আসরে সেরা বোলিং স্ট্রাইক রেট রাজশাহীর বর্ষীয়ান লেগ স্পিনার অলক কাপালির। ২ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৪টি। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৫। টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি ৩ ম্যাচে ৩ উইকেট, মুস্তাফিজুর রহমান ২ ম্যাচে ২ উইকেট, এবাদত ৩ ম্যাচে ২ উইকেট নেন। টাইগার বোলারদের পারফরম্যান্স আহামরি না হলেও একেবারে মন্দ নয়। টাইগার টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অবশ্য খুশি সতীর্থদের পারফরম্যান্সে, ‘মাত্র তিন ম্যাচ হয়েছে। তারপরও আমি বলব মিথুন, তামিম, সৈকত, বিজয়, মুশফিকরা রান করছেন। মুস্তাফিজ, মাশরাফি ভাই ভালো বোলিং করছেন। আশা করি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা আরও ভালো করবেন।’
সেরা নিউজ/আকিব