বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় জ্ঞান উতপাদনের সর্বাধুনিক স্থান। সেখানে নতুন নতুন জ্ঞান তৈরি হয়।যার মূল ভিত্তি ধরা হয় বিজ্ঞান ও বাস্তবতা।ভুত প্রেত আত্মার অস্তিত্ব যেখানে ভাবাই যায়না। তবে এবার ঘটল বিরল এক ঘটনা। ভারতের বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধতা পেল ভূতবিদ্যা। অনেকেই বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের বিষয়ের সংযোজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার।
অলৌকিক বিষয় নিয়ে উত্সাহী শিক্ষার্থীরা এবার ছয় মাসের সার্টিফিকেট কোর্স করতে পারবেন ভারতের ঐতিহাসিক ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। ‘ভূতবিদ্যা’ নামটা অস্বাভাবিক ঠেকলেও আসলে এটি একটি সাইকোথেরাপি। ছয় মাসের শংসাপত্র কোর্সে মনের অন্ধকার ও অজানা জগতে উঁকি দিয়ে মানসিক অবস্থা বুঝে সঠিক চিকিত্সার হদিস দিতে পারেন চিকিত্সকরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক অদ্ভুত ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত পড়াশোনা করে মানুষের মনের গভীরে প্রবেশ করে বিষয়টির সমাধান করার অন্য পন্থা হলো এই ভূতবিদ্যা।
ব্যাচেলর অব আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ও সার্জারি এবং ব্যচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি ডিগ্রিধারী চিকিত্সকরা এই ভৌতিক সাইকোসোমেটিক ডিসঅর্ডার ও অসুস্থতাগুলোর প্রতিকার করার কোর্স করার সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন জানিয়েছেন, এটি ভূত সম্পর্কিত অজানা বস্তু ও সাইকোসোমেটিক ডিসর্ডার থেকে মুক্তির জন্য আয়ুর্বেদিক সমাধান অনন্য উপায়।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করার পর বিষয়টি বৈধতা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। আয়ুর্বেদের জন্য এটি আলাদাভাবেও কোর্স করা যাবে। শুধু তাই নয়, আয়ুর্বেদ থেকে দেওয়া হবে সার্টিফিকেট।