আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলতি বছরই অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ডেমোক্রেটরা এরই মধ্যে নিজ দলের প্রার্থীতা পেতে লড়াই শুরু করেছেন। আর দৌড়-ঝাঁপের তালিকায় রয়েছে মাইকেল ব্লুমবার্গ, বার্নি স্যান্ডার্স, এলিজাবেথ ওয়ারেনের মতো প্রার্থীরা।
চলুন দেখে নেই কারা রয়েছেন আলোচনায়-
টম স্টেয়ার: ৬২ বছর বয়সী এই বিলিওনেয়ার জলবায়ু কর্মী হিসেবে নাম কুড়িয়েছেন। ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে তিনি কয়েক কোটি ডলার ব্যয় করে টিভি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছেন।
এলিজাবেথ ওয়ারেন: ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন। হার্বার্ডের সাবেক অধ্যাপক তিনি। ৭০ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদও আছেন ডেমোক্রেটদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর দৌড়ে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প: রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আবারও নির্বাচনে লড়ছেন সেটি নিশ্চিত। তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে কে আসছেন ডেমোক্রেট শিবির থেকে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
মাইকেল বেনেট: ৫৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ বর্তমানে কলোরাডোর সিনেটর। প্রগতিশীল ডেমোক্রেট হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার। ২০১৩ সালের অভিবাসী আইন প্রণয়নের পেছনে যারা ভূমিকা রেখেছেন তিনি তাদের একজন। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে গলা চড়ানোটাই নম্রভাষী এই রাজনীতিবিদের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
পিট বুটিজিয়েগ: নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সর্বকনিষ্ঠ পিট বুটিজিয়েগ। ইন্ডিয়ানার সাউথ বেন্ডের এই মেয়র সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। বয়স মাত্র ৩৭ বছর। কিন্তু নির্বাচনের জন্য অর্থ সংগ্রহে এগিয়ে আছেন সবার চেয়ে। অর্থনীতি আর জলবায়ু তার প্রচারের মূল বিষয়।
জন ডেলানি: সাবেক কংগ্রেসম্যান ও ব্যবসায়ী জন ডেলানি। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য মরিয়া তিনি। ২০১৭ সাল থেকেই এজন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। আইওয়ার প্রতিটি কাউন্টি এরইমধ্যে ভ্রমণ করেছেন তিনি। কিন্ত শেষ পর্যন্ত টিকিট পান কীনা সেটি দেখার বিষয়।
তোলসি গ্যাবার্ড: ২০১৬ সালের নির্বাচনে বার্নি স্যান্ডার্সকে সমর্থন দিয়েছিলেন তোলসি গ্যাবার্ড। ৩৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ এবার নিজেই প্রার্থী হতে চাইছেন। পূর্বের সমকামী বিরোধী অবস্থানের জন্য এরই মধ্যে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের সঙ্গে বৈঠক করেও সমালোচিত হয়েছে। বিদেশে মার্কিন সামরিক আগ্রাসণের বিরুদ্ধে অবস্থান রয়েছে তার।
এমি ক্লোবুসার: ৫৯ বছর বয়সী এমি ক্লোবুসার মিনেসোটার সিনেটর। মাদক, ঔষধসহ বিভিন্ন ইস্যুতে অবস্থান নিয়ে আলোচিত হয়েছেন তিনি। জো বাইডেনের পর উদারপন্থী ডেমোক্রেটদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তাই সবচেয়ে বেশি।
ডেভাল পেট্রিক: মেসাচুসেটস এর সাবেক গভর্নরও লড়ছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হতে। অ্যামেরিকার ইতিহাসের দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ গভর্নর নির্বাচিত হন তিনি ২০০৬ সালে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বন্ধু হিসেবে ডেভাল পেট্রিকের পরিচিতি রয়েছে।
বার্নি স্যান্ডার্স: ৭৮ বয়সী স্যান্ডার্স ২০১৬ সালেও লড়েছেন নির্বাচনের টিকেট পেতে। সেবার পিছিয়ে পড়েন হিলারির কাছে। তিনি নিজেকে ‘ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেন। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা, বিনা পয়সায় পড়াশোনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনে লড়তে চান এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।
জো বাইডেন: জো বাইডেন বা জোসেফ আর বাইডেন জুনিয়র। ওবামার শাসনামলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এ পর্যন্ত দুইবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন। শেষবারের মত এই দৌড়ে নামার সুযোগ পাচ্ছেন ৭৭ বছর বয়সী ডেমোক্রেট।
মাইকেল ব্লুমবার্গ: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রতিযোগিতায় এরইমধ্যে আলোচিত হয়েছেন নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ। ট্রাম্পকে হারাতে ১০০ কোটি ডলার খরচে প্রস্তুত আছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন এই বিলিওনেয়ার। গত অক্টোবরে রিপাবলিকান দলত্যাগ করে দুই যুগ পর আবারো ডেমোক্রেট শিবিরে ভিড়েছেন তিনি। তার বয়স ৭৭ বছর।
করি বুকার: ডেমোক্রেটদের মনোনয়নের দৌড়ে আছেন নিউ জার্সির সিনেটর ও নুয়ার্কের সাবেক মেয়র করি বুকারও। বৈষম্য দূরীকরণের ইস্যুকে তিনি সামনে নিয়ে এসেছেন। ভালবাসা, ঐক্য আর সাম্যের প্রচারও চালাচ্ছেন পঞ্চাশ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।
সেরা নিউজ/আকিব