আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের অন্যতম শীর্ষনেতা আবু আবদুল বারীকে গ্রেফতার করেছে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী। অতিরিক্ত ওজনের কারণে তাকে পুলিশের জিপে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ইরাকের মসুল থেকে গ্রেফতার করার পর তাকে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
আবু আবদুল বারীর ওজন ২৫০ কেজি। ক্ষমতাতেও তিনি ‘হেভি ওয়েট’। আইএস প্রধান আবু বকর-আল বাগদাদির পরই জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম ‘গডফাদার’ আবু আবদুল বারী। ইরাকের মসুলের গোপন আস্তানা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আইএসের শিফা আল-নিমাহ নামেও পরিচিত।
আবু-বকর আল বাগদাদি নিহত হওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইএসের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াই ছিল আবু আবদুল বারীর কাজ। শিফা আল-নিমাহ ওরফে আবু আবদুল বারীর কাছে আইএসের আরও অনেক গোপন আস্তানার খোঁজ মিলবে বলে মনে করছেন ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
নাম ও আস্তানা পাল্টে পাল্টে সিরিয়ার নানা জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন আবু আবদুল বারী। গণহত্যা, ধর্ষণ, নাশকতা-বিস্ফোরণসহ তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। বাগদাদির মতোই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন শিফা আল-নিমাহ।
‘নিউইয়র্ক পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের মসুল থেকে গ্রেপ্তার করার পর আবু আবদুল বারীকে ট্রাকে করে নিয়ে গেছে পুলিশ। ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর সোয়াটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ভাষণ দিতেন আবু আবদুল বারী। তিনি ছিলেন আইএসের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আইএসের অনুগত না হলে আবু আবদুল বারী ইসলামিক নেতাদের হত্যার ‘ফতোয়া’ দিতেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই জঙ্গি নেতার নাম ‘জাব্বা দ্য জিহাদি’। হলিউডের বিখ্যাত ‘স্টার ওয়ার্স’ সিরিজের চরিত্র ‘জাব্বা দ্য হাট’-এর সঙ্গে মিল রেখে তাঁর এই নাম রাখা হয়েছে। বিশাল দেহের জন্য তিনি পরিচিতি পেয়ে যান সহজেই।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
সেরা নিউজ/আকিব