ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সম্মানজনক উপায়ে ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের পথ খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের প্রেস টিভির এক টকশোতে এ মন্তব্য করেন সিরিয়ায় নিযুক্ত ব্রিটেনের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার ফোর্ড।
ইরাক থেকে মার্কিন সেনা হটাতে এরইমধ্যে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে ইরাকের সংসদে। অন্যদিকে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার রাজধানী বাগদাদে শিয়া আলেম মুক্তাদা আল সাদরের ডাকে অন্তত ২৫ লাখ মানুষের বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে।
প্রেস টিভিতে পিটার ফোর্ড বলেন, ইরাকের জাতীয় সংসদে সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। মার্কিন সরকার সবসময় গণতন্ত্রের কথা বলে থাকে এবং যেসব দেশে সত্যিকারের সংসদ নেই তাদের সমালোচনা করে থাকে। সে ক্ষেত্রে ইরাকের সংসদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবকে তারা লঙ্ঘন করতে পারবে না। যদি তারা ইরাকি সংসদের প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে তাহলে প্রকৃতপক্ষে তারা গণতন্ত্রকেই অপমান করবে।
পিটার ফোর্ড আরও বলেন, ইরাকের বেশিরভাগ মানুষ মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি দেখতে চায় না। এটা তাদের জন্য অসম্মানের ব্যাপার। আমার মনে হয়, তারা এখন মুখ রক্ষার চেষ্টা করছে এবং সম্মান বাঁচিয়ে ইরাক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ট্রাম্প ভিয়েতনামের মতো ইরাকে রাজনৈতিকভাবে অপমানিত হতে চান না।
জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা খুবই অন্যায় হয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব