নিজস্ব প্রতিবেদক:
লাল রঙের পুরোনো ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট প্রত্যাহারের গুজব ছড়িয়েছে। এতে অনেকেই তাদের কাছে থাকা নোট ব্যাংকে জমা দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে গুজবে কান না দিতে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর পরও কোনো কোনো শাখার কর্মকর্তারা ধারণা থেকে গ্রাহককে বলছেন, অনেক দিন হয়ে যাওয়ায় লাল নোট তুলে নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেউ লাল নোট জমা দিতে এলে তা নিতে বাধা নেই। তবে গ্রাহককে না দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। যদিও কর্মকর্তাদের এমন ধারণা সঠিক নয় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে।
দেশে এক হাজার টাকার লাল নোটের প্রচলন শুরু হয় ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ গভর্নর থাকার সময়কালে। পরে ড. আতিউর রহমান গভর্নর হওয়ার পরও নোটটি ইস্যু করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে অবশ্য আর আগের নোট ইস্যু হচ্ছে না। যদিও বাজারে থাকা এ নোট চলতে বাধা নেই। সম্প্রতি কোনো একটি পক্ষ থেকে গুজব ছড়ানোয় এ নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় দেখা দেয়।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত এক হাজার টাকার নতুন নোট বাজারে আছে। সর্বশেষ গত ২৩ মে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংবলিত বিদ্যমান ডিজাইনের নোটে নতুন নিরাপত্তা সুতা যুক্ত করা হয়েছে। উচ্চ মূল্যমানের ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য অধিকতর সুদৃঢ় করা এবং নোট জাল প্রতিরোধের লক্ষ্যে যা করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, লাল রঙের এক হাজার টাকা মূল্যমানের যত নোট বর্তমানে বাজারে আছে, তা তুলে নিয়ে আবার ছাপাতে গেলে ১০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। যে কারণে আপাতত এ ধরনের নোট তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, এমন গুজবে কান না দিতে ব্যাংকগুলোকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। শাখা পরিদর্শনে গিয়েও এ বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। এর পরও একটি পক্ষ ঘুরেফিরে গুজব রটাচ্ছে। নোটটি অনেক আগের হওয়ার ধারণা থেকে এমন করা হচ্ছে। কোনো ব্যাংক শাখা এমন ধরনের গুজব আমলে নিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব