অনলাইন ডেস্ক:
জাপানের রাজধানী টোকিওতে চলতি বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অলিম্পিক গেমস। এ উপলক্ষে দেশটিতে জড়ো হবে কয়েক হাজার মুসলিম ক্রীড়াবিদ, কর্মকর্তা ও দর্শকরা। বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্বের অন্যতম বড় এই ক্রীড়া আসরকে সামনে রেখে এই ‘ভ্রাম্যমাণ মসজিদ’ তৈরি করেছে জাপান সরকার।
গেমস চলাকালীন সময়ে ভ্রাম্যমাণ মসজিদ বিভিন্ন স্টেডিয়ামের সামনে রাখা হবে। এটি একটি ট্রাকের উপর নির্মিত। এতে রয়েছে ৪৮ স্কয়ার মিটারের নামাজ কক্ষ। এটি একটি চলামান ট্রাকে থাকবে। ওই ট্রাকটি নির্ধারিত জায়গায় পার্ক করার পর কয়েক সেকেন্ডে সয়ংক্রিয়ভাবে তার জায়গা করে নিতে পারে। ভ্রাম্যমাণ মসজিদ বানাতে চার বছর লেগেছে।
২৫ টন ট্রাককে একটু বদলে সেটি নামাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ওই জায়গায় একসঙ্গে ৫০ জন নামাজ পড়তে পারবেন। ভ্রাম্যমাণ মসজিদের ভেতর ওজুর জন্য পানি রয়েছে। কিবলার দিকও নির্দেশ করা আছে। এ প্রকল্পের জন্য জাপান সরকার ৯০ হাজার ডলার ব্যয় করেছে। এটিতে আরবি হরফে লেখা রয়েছে। প্রতিবার নামাজের আগে এটি পরিষ্কার করার ব্যবস্থা রয়েছে।
টোকিও অলিম্পিকে মুসলিমদের আমন্ত্রণ জানানোরও একটি বিশেষ উদ্যোগ এটি। অলিম্পিকে আগত মুসলিমরা যেন নামাজ পড়ার একটি উপযুক্ত পরিবেশ পায়, সে দিকে দেশটি গুরুত্ব দিয়েছে। ইয়াসু প্রজেক্ট নামে একটি সংস্থা এর পরিচালনা করছে। জুলাইয়ের ২৪ তারিখ থেকে আগস্টের ৯ তারিখ পর্যন্ত অলিম্পিকের ভেন্যুর কাছাকাছি থাকবে এ ভ্রাম্যমাণ মসজিদটি।
এছাড়া জাপানে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২০০টি মসজিদ রয়েছে। ১৯৩১ সালে জাপানে সর্বপ্রথম মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। জাপানের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী আসার কারণে জাপানে দিন দিন মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে মসজিদের সংখ্যাও। তবে ভ্রাম্যমাণ মসজিদের মাধ্যমে যেমন অলিম্পিকের মতো বড় আসরের প্রচার ও প্রসারের কাজ চলছে, তেমনি এ ধারণা মুসলমানদের মধ্যে জনপ্রিয় করার চেষ্টাও করা হচ্ছে।
সেরা নিউজ/আকিব