ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদে সোমবার দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভকালে তাদের সঙ্গে পুলিশ অসদাচরণ করেছে। ছাত্রীদের হিজাব, বোরকা খুলে নিয়েছে। এ ছাড়া গোপনাঙ্গ সহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আহত শিক্ষার্থীরা বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন। তারা বলেন, পুলিশ তাদেরকে বুঁট পায়ে লাথি মেরেছে এবং লাঠি দিয়ে তাদেরকে আঘাত করেছে। রাফিয়া ফাতিমা নামে একজন ছাত্রী বলেছেন, নারী পুলিশ অফিসাররা আমার হিসাব ও বোরকা কেড়ে নিয়েছে। আমি যখন মাটিতে পড়ে যাই তখন একজন পুরুষ পুলিশ অফিসার আমার বুকের ওপর উঠে বসে। পেটের ওপর বুঁট রাখে।
এ সময় ফাতিমা তার মেডিকেল রিপোর্ট দেখান। তাতে বলা হয়েছে, তিনি বুকে আঘাত পেয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য প্রিন্ট।
সোমবার জামিয়া নগর থেকে ভারতের পার্লামেন্ট অভিমুখে বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা ছিল শিক্ষার্থীদের। কিন্তু পথে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের বাইতে তাদেরকে থামিয়ে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড অতিক্রম করতে দেয়া হয় না তাদেরকে। এ ঘটনার পর সেখানে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে কমপক্ষে ১৬ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদেরকে ভর্তি করা হয় আল শিফা হাসপাতালে। এরপর পরই কমপক্ষে ৯ জন শিক্ষার্থীকে পুলিশ আটক করে। তাদেরকে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত আটকে রাখা হয় বদরপুর পুলিশ স্টেশনে। ওই ৯ শিক্ষার্থীর একজন চন্দ যাদব। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ স্টেশনে নেয়ার সময় পুলিশ তাকে থাপ্পর মেরেছে পুলিশ। তার ভাষায়, ওই সময় পুলিশের গাড়িতে আমি একাই ছিলাম মেয়ে। এ সময় একজন পুলিশ অফিসার আমাকে থাপ্পর মারে। ধাক্কাধাক্কা করার কারণে আমার শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। এ জন্য আমাকে ব্যথানাশক ওষুক খেতে হয়েছে। তবে সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, বানোয়াট। দিল্লি পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব অনুসরণ করে।
সেরা নিউজ/আকিব