নিজস্ব প্রতিবেদক:
বলা নাই, কওয়া নাই হঠাৎ করেই আঙুল ফুলে কলা গাছ হবার মত নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়ে যান শামীমা নূর পাপিয়া। এরপর আর পিছু তাকাতে হয়নি। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ক্ষমতার সিঁড়ি বেয়ে স্বল্প সময়ে হয়ে যান বিত্ত-বৈভবের মালিক। নানা কৌশলে বড় বড় কাজ বাগিয়ে নিতেন। বড় নেতাদের খুশি করতে পাপিয়ার কাছ থেকে সুন্দরী তরুণী সংগ্রহ করত নেতারা।
এ সব কারণে পোর খাওয়া বহু নেতার ফোন কেন্দ্রীয় নেতারা না ধরলেও পাপিয়াকে নিজ থেকেই ফোন করতেন তারা। এভাবে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেন পাপিয়া। মজার ব্যাপার হচ্ছে পাপিয়া ধরা পরার পর তার পৃষ্ঠপোষকরা তার দায় নিতে নারাজ।
গ্রেফতার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাপিয়ার নানা অপকীর্তি প্রকাশ হওয়ার পর এখন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে যুব মহিলা লীগের নেতা-নেত্রীরা একে অন্যকে দোষারোপ করছেন।
তবে কারা তাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন, বিভিন্ন কমিটিতে বড় পদ পাইয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছেন এবং কারাই বা তার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন- সব তথ্যই এখন তদন্ত কর্মকর্তাদের হাতে।
রিমান্ডের প্রথম দিনেই জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছেন সদ্য বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়া।
জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার নাম বলেছেন, যাদের সঙ্গে তার ‘বিশেষ সম্পর্ক’ রয়েছে। মূলত এসব নেতাই পাপিয়ার উপরে ওঠার সিঁড়ি হিসেবে কাজ করেছেন। ক্ষমতাসীন দলের সাবেক একজন এমপির সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন পাপিয়া।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাপিয়ার অর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুদক পাপিয়া-মফিজুর রহমান সুমন দম্পতির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের খোঁজ নিতে রাজস্ব বোর্ডকে খুব শিগগিরই চিঠি দেবে বলে জানা গেছে। এই দম্পতির ব্যাংক হিসাব জব্দের জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেবে দুদক।
দুদক বলছে, পাপিয়া থেকে সুবিধা নেয়া রাজনৈতিক দলের নেতাদের তালিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। তালিকা পাওয়ার পর তাদেরও নজরদারির আওতায় আনা হবে।
সূত্র বলছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম ফাঁস করে দিয়েছেন। আর এতেই অনেক রাজনৈতিক নেতার ঘুম হারাম হয়ে গেছে জানা গেছে। পাপিয়ার কাছ থেকে কোন কোন নেতা অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন, তাদের নিয়ে দলেও কানাঘুষা চলছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, আইনগত বাধা এড়াতে মামলাটির তদন্ত হাতে নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদ করে পাপিয়ার কাছ থেকে আমরা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি।
আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেক কর্মকর্তা বলেন, পাপিয়ার উত্থানের পেছনে কাদের ভূমিকা ছিল, কারা পাপিয়া গংদের কাছ থেকে নিয়মিত সুবিধা নিতেন, তাদের প্রত্যেকের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি তথ্য গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক রিপোর্ট করছি। অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে উত্থানের নিয়ামক হিসেবে দুজন প্রভাবশালী নেত্রীর নাম বলেছেন পাপিয়া।
পরে তারাও নিয়মিত পাপিয়ার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিতেন। তাদের একজন আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক এমপি। পাপিয়ার সঙ্গে তার গাড়ির ব্যবসাও রয়েছে। পাপিয়া বলেছেন, বিভিন্ন সুবিধা আদায়ের জন্য অনেক নেতাই তরুণীর জোগান দিতে পাপিয়ার সহায়তা চাইতেন।
ওই নেতাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের অনেক ছবিই পাপিয়া কৌশলে তুলে রেখেছেন। ওইসব ছবি দিয়েই ব্ল্যাকমেইল করতেন পাপিয়া। রাজনীতির আড়ালে এটি ছিল তার মূল ব্যবসা। ওইসব ছবি ব্যবহার করে সমাজের উঁচু স্তরের লোকদের ব্ল্যাকমেইল করা ছাড়াও বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ বাণিজ্য করতেন পাপিয়া।
র্যাব বলছে, পাপিয়ার সব কর্মকাণ্ডের অন্যতম অংশীদার তার স্বামী সুমন। একসময় নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন সুমন। পরে নরসিংদীর প্রয়াত পৌর মেয়র লোকমানের বডিগার্ড হন। ২০১২ সালের অক্টোবরে নরসিংদীর বাসাইলে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন এবং এতে তার স্ত্রী পাপিয়া গুলিবিদ্ধ হন।
এরপর ঢাকায় পাড়ি জমান। র্যাবের তদন্ত একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ঢাকায় যুব মহিলা লীগের এক নেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন পাপিয়া। ওই নেত্রীর মাধ্যমেই বিস্তৃত হতে থাকে তার বলয়। অনেকের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়ান, গড়ে তোলেন এক বিশাল সিন্ডিকেট।
এদিকে অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় গ্রেফতার নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে কীট আখ্যা দিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল।
তিনি বলেছেন, পাপিয়াদের অপকর্মের দায় যুব মহিলা লীগ নেবে না।
হাজারও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার পাপিয়ার কঠোর শাস্তি দাবিও করেছেন অপু উকিল। রোববার বিকালে পাপিয়াকে বহিষ্কার করে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে অপু এ দাবি করেন।
ফেসবুকে অপু উকিল লেখেন– ‘এই সকল সমাজের কীটদের অপকর্মের দায় সংগঠন কখনই নেবে না। এদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক।’
যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আকতার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২২(ক) উপধারা অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে পাপিয়াকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।
যুব মহিলা লীগে পদ পাওয়ার আগে পাপিয়া বিয়ে করেন নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনকে।
২০০১ সালে নরসিংদী পৌরসভার কমিশনার মানিক মিয়া হত্যাকাণ্ডের আসামি সুমন দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। ২০১০ সালে তিনি কারাগার থেকে ছাড়া পেলে তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ ফুল দিয়ে তাকে বরণ করেছিলেন।
২০১২ সালে পাপিয়াকে বিয়ে করার দুই বছর পর নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হন সুমন। মানিক মিয়া হত্যামামলার আসামি লোকমান হোসেন ২০০৪ সালে নরসিংদী পৌরসভার মেয়র হলে তার দেহরক্ষীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সুমনকে। লোকমান নিজেও পরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
লোকমানের ছোট ভাই হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ, যার সময়ে সুমন পান শহর কমিটির আহ্বায়কের পদ।
২০১৪ সালে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আকতার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সম্মেলন করলেও নরসিংদীতে কমিটি দিতে পারেননি। পরে ঢাকায় ফিরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নরসিংদী জেলা কমিটি ঘোষণা করেন, তাতে পাপিয়াকে দেয়া হয় সাধারণ সম্পাদকের পদ।
নরসিংদীর নেতাদের অনেকের দাবি, তাদের বিরোধিতার মুখে ঢাকায় গিয়ে পাপিয়াকে পদ দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম হীরু গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৪ সালে সম্মেলনের মাঠে পাপিয়ার নাম প্রস্তাব করলে আমি বিরোধিতা করি। আমার সঙ্গে আরও কয়েকজন বিরোধিতা করে।
তিনি বলেন, পরে সম্মেলন কেন্দ্রে নাম ঘোষণা করতে গেলে আমি বলি, এখানে পাপিয়ার নাম কোনোভাবেই কমিটিতে রাখা যাবে না। পরে নাজমা ও অপু নরসিংদীতে কমিটি দিতে না পেরে ঢাকায় গিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি দেয়।
যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আকতার বলেন, জেলা কমিটিতে পাপিয়া আগে কোনো পদে না থাকলেও তাকে পদ দিতে অনেকটা বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।
নাজমা বলেন, নরসিংদীর একটি পক্ষ এই মেয়েকে পদ না দেয়ার জন্য আমাদের বলেছিল। আমি পাপিয়াকে পদ দেয়ার পক্ষে ছিলাম না। তারপরও শেষ পর্যন্ত দিতে হয়েছে।
পাপিয়াকে অর্থের বিনিময়ে পদ দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগের বিষয়ে নাজমা বলেন, পদ বাণিজ্য করে যারা পাপিয়াকে পদ দিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক, এমন মেয়েদের জন্য যুব মহিলা লীগের সম্মান যায়।
কাদের আশ্রয়ে পাপিয়া এতদূর এগিয়েছে- জানতে চাইলে যুব মহিলা লীগের সভাপতি বলেন, সে কাদের সঙ্গে উঠাবসা করে, তাদের খুঁজে বের করলেই সব পেয়ে যাবেন। আমাদের অনেকের সঙ্গে পাপিয়ার ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল, তাদের বের করুন।
তাকে পদ দেয়ার ক্ষেত্রে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের সমর্থন ছিল বলে সংগঠনটির বিভিন্ন নেতা জানিয়েছেন।
অপু উকিল তা অস্বীকার করে বলেন, নরসিংদী আওয়ামী লীগের নেতাদের সুপারিশে পাপিয়াকে পদ দেয়া হয়েছিল।
তিনি জানান, জেলার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা কমিটি দিই। তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের (তৎকালীন) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীদের অনেক তদ্বির ছিল, অনেকেই এই মেয়েকে পদ দেয়ার জন্য সুপারিশ করে।
নরসিংদী আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি হীরু বলেন, কমিটি দেয়ার পর আমি অপুকে জিজ্ঞাসা করলে সে আমাকে বলেছিল, উপর থেকে চাপ ছিল, তাই পাপিয়াকে নেত্রী বানিয়েছি। আমি বলব, এখন প্রকাশ করুক কোন উপরের চাপে তাকে সাধারণ সম্পাদক বানানো হয়েছে।
পাপিয়ার অপকীর্তির বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেন অপু উকিল।
তিনি বলেন, আমি ২০১৪ সালে যখন কমিটি দিয়েছি, তখন সে নরসিংদীতে ছিল। কবে ঢাকায় এসেছে, কবে ব্যবসা শুরু করেছে, এগুলো আমি কিছুই জানি না। আমি তো মনে করেছি, সে নরসিংদীতেই আছে।
অপু উকিল যে পদধারীদের কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে জেলা সভাপতি আসাদুজ্জামান মারা গেছেন, সাবেক মন্ত্রী রাজু অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী।
যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের সঙ্গে পাপিয়ার সখ্যের বিষয়টি বেশ আলোচিত সংগঠনের মধ্যে। পাপিয়ার নানা কাজে তুহিনের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে, এমন অভিযোগও এসেছে।
তবে তুহিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেবলেছেন, পাপিয়ার সঙ্গে তার সাংগঠনিক সম্পর্কের বাইরে কিছু ছিল না। আমি মহানগর উত্তরের নেত্রী, রাজনীতির কারণে আমার অনেকের সঙ্গে মিশতে হয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন আছে, সে কারণে দেশের সব জেলার নেত্রীদের সঙ্গেই আমার মিশতে হয়।
তুহিন দাবি করেন, ২০১৪ সালে পাপিয়া যখন নরসিংদী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হন, তখনও তাকে চিনতেন না তিনি। পাপিয়া ২০১৪ সালে নেতা হয়েছে, আর আমার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে ২০১৭ সালে। তাহলে কমিটিতে আসার ব্যপারে আমার কোনো ভূমিকা থাকতে পারে না। আর জেলা কমিটি গঠনে মহানগরের কোনো হাত থাকে না।
তবে ২০১৭ সালে পরিচয়ের পর পাপিয়ার সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠার স্বীকারোক্তি আসে তুহিনের কথায়। তিনি বলেন, তারপর থেকে নিয়মিত আসতে। আমি এমপি ছিলাম, তার বাসা আমার বাসা থেকে কাছে, নিয়মিতই আসত।
তখন সখ্য থাকলেও এক বছর ধরে পাপিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না বলে দাবি করেছেন তুহিন। তিনি বলেন, হঠাৎ গত বছরের শুরুর দিক থেকে আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি আমি নরসিংদীতে গিয়ে ফোন করেও দেখা পাই নাই। বছর দেড়েক আগে আমার কাছে টাকা ধার চেয়েছিল, আমি দিই নাই। এরপর থেকে আমার এখানে আসে না।
এত সখ্য থাকার পরও কেন ফোন ধরত না- প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর কারণেই হয়তবা আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেছে।
তুহিন দাবি করেন, তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে পাপিয়ার সঙ্গে তাকে জড়ানো হচ্ছে।
সেরা নিউজ/আকিব