স্পোর্টস ডেস্ক:
তার ব্যাটিংয়ের ধরনটা বরাবরই আগ্রাসী। তবে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে ক্যারিয়ারের শুরুতে ধারাবাহিকতার সমস্যা ছিল। তবে দিনকে দিন পরিণত হয়ে উঠছেন লিটন দাস।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ (রোববার) খেলতে নামার আগে ওয়ানডেতে সর্বশেষ ছয় ইনিংসে একবারও দুই অংকের নিচে আউট হননি। হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন দুটি, এর মধ্যে একটি আবার ছিল অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস।
গত বছরের জুনে টনটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ নম্বরে নেমে ৬৯ বলেই ৯৪ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন লিটন। বল পাননি বলে সেঞ্চুরিটা সেবার পাওয়া হয়নি।
এবার ওপেনিংয়ে নেমে সেই আক্ষেপ দূর করলেন ড্যাশিং এই ব্যাটসম্যান এবং সেটা নিজের সহজাত আগ্রাসী ভঙ্গিমায়। সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ ৯৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন, ৯ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায়। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮২ রান। ১৯ রান করে আউট হয়েছেন মুশফিক। ৯৭ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত লিটন।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জুটি গড়েই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। একের পর এক জুটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিটন দাস। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন লিটন।
সেই ‘বুমবুম তামিম’কে অবশ্য এখন দেখাই যায় না বলতে গেলে। যদিও তরুণ সঙ্গী ওপেনারদের জন্যই নিজের সেই আগ্রাসী ব্যাটিংকে বিসর্জন দিয়েছেন তিনি, তবে দিন শেষে রান পাওয়াটাই বড় কথা। তামিম কিন্তু ধরণ বদলে মোটেই সফল হচ্ছেন না।
গত ৬ ওয়ানডেতে তার কোনো ফিফটি নেই। ফিফটি পেলেন না এবারও। সবগুলো ইনিংসেই স্ট্রাইকরেট একশর নিচে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ (রোববার) মাত্র ৫৫.৮১ স্ট্রাইকরেটে ২৪ রান করেছেন এই বাঁহাতি।
অতি রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন মাদেভেরের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হয়ে। রিভিউ অবশ্য নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ব্যর্থতার রাস্তা বড় করেই ফিরেছেন সাজঘরে।
যদিও লিটন দাসের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটিটি খারাপ ছিল না। ১২.৫ ওভারে তারা যোগ করেন ৬০ রান। কিন্তু তাতে লিটনের অবদানই বেশি। তামিম শুধু খেলেই গেছেন, রানের দিকে মনোযোগ ছিল না। শেষতক রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ের দায় চুকিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে।
তারপর লিটনের সঙ্গে জুটি গড়ে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্তও। তিনিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩৮ বলে ১ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় করেন ২৯ রান। তৃতীয় উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়ে ফেরেন মুশফিক।
সেরা নিউজ/আকিব