নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশেষ করে সীমান্ত এলাকাসহ দেশজুড়ে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অনেক স্থানে প্রস্তুতি কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন আমাদের ব্যুরো অফিস ও জেলা প্রতিনিধিরা। বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জনরা সবার উদ্দেশে বলেছেন, করোনা নিয়ে কেউ আতঙ্কিত হবেন না, শুধু সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে স্বাভাবিক জীবনযাপনে অসুবিধা নেই।
রাজশাহীতে ৩৫ বেডের করোনা ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তিনটি মেডিকেল টিম। তবে প্রস্তুতি কার্যক্রম এখনও শেষ হয়নি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই এই ভাইরাস নির্ণয়ের কিটস ও থার্মাল স্ক্যানার। এসবের চাহিদা দিলেও এখনও তা পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা বাড়লেও থার্মাল স্ক্যানার মেশিনের বিকল মনিটরটি সংস্কার না করায় হ্যান্ডডিটেক্টর থার্মাল দিয়ে চলছে করোনা পরীক্ষা। যাত্রীদের তুলনায় এই সরঞ্জামেরও স্বল্পতা রয়েছে। এতে স্বাস্থ্যকর্মী ও যাত্রী উভয়কেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
যশোরের সিভিল সার্জন বলেছেন, খুব শিগগির নতুন মনিটর বসানো হবে। ফেনীতে ৭০ শয্যার প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। ৯ সদস্যের চিকিৎসক দল গঠন করা হয়েছে। তারপরও এই প্রস্তুতিকে অপ্রতুল বলছে।
সিলেটে সরকারি তিন হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগে সিলেটে মাস্কের বাজারেও অভিযান চালানো হয়। এ সময় বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করার দায়ে একটি দোকানকে জরিমানা করা হয়।
কোয়ারেন্টাইনের জন্য চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ কাট্টলীর পিএইচ আমিন একাডেমি এবং চান্দগাঁও সিডিএ পাবলিক স্কুল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কেউ আক্রান্ত হলে তাদের সীতাকুণ্ডের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে রাখা হবে।
করোনা মোকাবিলায় নারায়ণগঞ্জে ৫০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন প্রস্তুত করা হয়েছে।
কুমিল্লার বিরাট একটি অংশ প্রবাসী। প্রতিদিনই শত শত প্রবাসী ছুটি নিয়ে এলাকায় আসছেন, আবার অনেকে প্রবাসে যাচ্ছেন। ফলে এখানকার পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে জেলা ও স্বাস্থ্য বিভাগ সচেতনতা বাড়াতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব