যুগ যত সামনে এগিয়ে যাচ্ছে মানুষের ঘুমের অভ্যাস এরও তত বদল ঘটছে।এই বদলে যাওয়া অভ্যাস অধিকাংশ সময়েই হতে পারে বিভিন্ন অসুখ বিসুখের উদ্ভাবক। বর্তমান যুগে ঘুম থেকে উঠতে সকাল ৯টা-১০টা বাজিয়ে দেন অনেকেই। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সমস্যাটি বেশি প্রকট। তবে ‘সূয্যি মামার জাগার আগে’ জেগে উঠতে পারলে আছে বিভিন্ন সুবিধা।
স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট এরকম কিছু সুবিধার কথা বলা হয় যা জানলে হয়ত আজ থেকেই ঘড়িতে ভোর ছয়টায় অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমাবেন।
বাড়তি সময়: ভোরে ঘুম থেকে উঠলে কয়েক ঘণ্টা বেশি হাতে পাওয়া যায়। পড়াশোনা, অফিস কিংবা ঘরের কাজে সময়টা কাজে লাগাতে পারবেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ভোরবেলার ঘুম থেকে উঠলে কাজের স্পৃহা থাকে বেশি, ফলে দ্রুত কাজ শেষ করা যায়। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়া, পরিকল্পনা করা এবং লক্ষ্যে পৌছানোর পথও এসময় বেশি কার্যকর হয়।
মানসিক স্বাস্থ্য: ভোরে ঘুম থেকে ওঠার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকারীতা হল মানসিক চাপ কম থাকা। ভোরে বিছানা ছাড়লে কাজে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করতে হয় না। দিনের শুরুটা ইতিবাচকভাবে, যার প্রভাব সারাদিনই বজায় থাকে।
ভালো ঘুম: ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হলে রাতে ঘুমাতেও হবে জলদি। তবে অভ্যাসটি কালেভদ্রে হলে চলবে না, প্রতিদিনের রুটিনে পরিণত করতে হবে।
সুখি মনোভাব: সকালে ঘুম থেকে উঠলে সারাদির মন-মেজাজ ভালো থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন তারা সাময়িকভাবে নয় সারা জীবনের জনই সুখি জীবনের অধিকারী হন