চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ৩৮ ঘণ্টা পরেও নেভানো সম্ভব হয়নি আগুন। সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার এ ঘটনা ইতিহাসে ভয়ঙ্করতম অগ্নিকান্ড হিসেবে ইতিমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে দেশজুড়ে।
আগুন নেভাতে আরো কতো সময় লাগবে তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। কোন কন্টেইনারে রাসায়নিক আছে তা বলতে না পারায় তাদের সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। তবে ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছেন।
এদিকে, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৪৬। আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষ। তবে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ।
নিহতদের লাশ হস্তান্তরের কাজ শুরু করা হয়েছে আজকে। ইতিমধ্যেই, নিহতদের মধ্যে ২২ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এসব লাশ হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় সংস্থাটির ফরেনসিক বিভাগ নিহতদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে। পরিচয় শনাক্তের পর লাশ হস্তান্তর করা হবে।
সেরা টিভি/মামুন