নিউজ ডেস্ক:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
হামলায় চারজন সাংবাদিকসহ ১৫-২০ জন আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিত্সা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে রোববার সন্ধ্যা সাতটা থেকে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছিলেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে আন্দোলনরতদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
হামলা চলাকালে উপাচার্যের বাসভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। এছাড়া উপাচার্যপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ‘ধর ধর’, ‘জবাই কর’ স্লোগান দিয়ে হামলায় উস্কানি দিতে দেখা যায়।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, আমরা শিবিরমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশুলিয়া পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, উভয়পক্ষেই ছাত্র-শিক্ষক রয়েছেন। আমরা কারও ওপর হাত তুলতে পারি না। তারা নিজেদের ভুল বুঝে নিজেদের মতো সমাধান করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আ. স. ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ঘটনাস্থলে মব তৈরি হয়েছিল। চেষ্টা করেও আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। বড় ঘটনা এড়াতে আমরা তৎপর আছি। কোনও শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর জানেন না বলে দাবি করেছেন প্রক্টর।
সেরা নিউজ/আকিব