মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর দীর্ঘদিন ধরেই অত্যাচার করে আসছে মিয়ানমার। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে প্রায় ২লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় ন্যায়। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। সোমবার (১১ নভেম্বর) গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবু বকর তাম্বাদোউ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করা সংস্থাগুলো।
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলাটি করে গাম্বিয়া। এ ব্যাপারে দেশটিকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ফোলে হোয়াগ’। তাদের আশা, আগামী মাসেই মামলার শুনানি হবে।
১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে মিয়ানমার ও গাম্বিয়া দুই দেশই স্বাক্ষর করেছে। গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘জেনোসাইড কনভেনশন অনুযায়ী আমরা জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে-ওয়ার্ল্ড কোর্ট নামেও পরিচিত) আবেদনপত্র জমা দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, অভিযোগের একটাই উদ্দেশ্য, নিজের জনগণের (রোহিঙ্গা) সঙ্গে মিয়ানমার যে আচরণ করেছে সেটির জন্য তাদেরই দায়ী করা। আমাদের চোখের সামনে গণহত্যা ঘটে যাওয়ার পরেও আমরা কিছুই করছি না, এটা আমাদের প্রজন্মের জন্য লজ্জাজনক।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। জীবন বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘের তদন্তকারী দল বলেছে, গণহত্যার উদ্দেশ্য নিয়েই রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।