ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামের শুরু হয়েছে ভারত অ বাংলাদেশ এর মধ্যকার প্রথম টেস্ট ম্যাচ। উইকেট ফাস্ট বোলারদের দিকে শুরুর দিনেই সহায়তার হাত বাড়ায়—বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক যখন টস জিতে ব্যাটিং নিলেন তখন মনে মনে খুশিই হয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। খুশির ব্যাপারটা গোপনও করেননি। টসের সময়ই বলে দিয়েছিলেন, তাঁরা টস জিতলে বোলিংই নিতেন। তিন পেসার নিয়ে যে খেলছে ভারত। গতি বোলারদের ওপর কোহলির আস্থা অনেক। টেস্ট শুরুর প্রথম আধ ঘণ্টার মধ্যেই ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদবরা সেটির প্রতিদান দিয়েছেন। সুইংয়ে সুইংয়ে ব্যতিব্যস্ত রেখেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলামকে। সেই সুইংয়ের কাছেই শেষ পর্যন্ত পরাভূত এই দুই ওপেনার। ফিরেছেন দুইজনই।
ইমরুল কায়েস যাদবের বলে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন অজিঙ্কা রাহানেকে। স্কোরবোর্ডে রান উঠেছিল তখন ১২। ইশান্ত শর্মার বলে উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহাকে ক্যাচ দিয়েছেন সাদমান।
দ্রুত ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে লড়ছিলেন মুমিনুল হক। একটু একটু করে উইকেটে জমে যাওয়ার চেষ্টাও ছিল। রানও আসছিল এক–দুই করে। কিন্তু ১৯ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন এঁরা দুই জন। মোহাম্মদ শামির বলে এলবিডব্লু হয়েছেন মিঠুন। শামির মিডল স্টাম্পের ওপর পড়া বলটি পা সামনে নিয়ে রক্ষণাত্মক খেলতে চেয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু বলটি সুইং করে তাঁর প্যাডে লাগলে আম্পায়ারের খুব একটা বেগ পেতে হয়নি সিদ্ধান্তটি দিতে। মিঠুনের বিদায়ের পর উইকেটে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। মুমিনুল অপরাজিত আছেন ১০ রানে। মিঠুন অবশ্য ফিরেছেন ১২ রান করে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় প্রথম সেসন শেষ করে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬৩।
বাংলাদেশ দল
ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক (অধিনায়ক) মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ।