অনলাইন ডেস্ক:
মারাত্মক ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। জিনের গঠন বদলে প্রতিনিয়ত আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে এই ভাইরাস। বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এখন সবার দৃষ্টি এর প্রতিষেধক এবং ওষুধের দিকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এই সংক্রমণের কার্যকর ওষুধ বা প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত হয়নি। তবে আশার কথা এটাই যে- যুক্তরাষ্ট্র, চীন, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, ইজরায়েল এমনকি ভারতেও এই মারণ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার উপায় আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানী-গবেষকরা। কাজও এগোচ্ছে তরতরিয়ে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে মানবদেহে করোনা প্রতিষেধক টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে।
এবার যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি বাসায় বসে নিজেই পরীক্ষা করা যায় এমন একটি টেস্ট কিট তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এটা জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা। তাদের এই দাবি যদি সঠিক হয় তাহলে করোনা যুদ্ধে এটা মাইলফলক হবে।
এটা সফল হলে জনগণ কয়েক দিনের মধ্যে বাড়িতে বসে করোনভাইরাসের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করতে সক্ষম হবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের এই বিজ্ঞানীরা।
ন্যাশনাল ইনফেকশন সার্ভিস ও পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (পিএইচই) এর পরিচালক প্রফেসর শ্যারন পিকক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটিকে বলেছেন, এটি দোকানে সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত করা হবে। প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে, কয়েক দিনের মধ্যে মানুষ ঘরে বসেই করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ৩৫ লাখ টেস্ট কিট তৈরি করা হবে এবং এটা খুব দ্রুতই বাজারে আসবে।
তিনি বলেছিলেন যে, পরীক্ষাগুলি চিকিৎসক ও নার্সদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য খুবই উপকারি হবে। তার যদি নিজেরাই ঘরে বসে জানতে পারে তাদের করোনা আছে কি-না এবং তাদের মাঝে যদি অ্যান্টিবডিগুলি তৈরি করে তবে তারা কাজে ফিরে যেতে পারবেন।
কোভিড-১৯ রোগ আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য লোকদের এই পরীক্ষাগুলিতে আঙুলে একটি ছোট্ট ছিদ্র করতে হবে। এটা খুবই ছোট একটা কাজ।
প্রফেসর পিকক বলেন, অক্সফোর্ডের পরীক্ষাগারে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে, এবং সফল হলে ফার্মেসি এবং অ্যামাজনের মতো কোনও অনলাইন প্লাটফর্মে খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে এগুলো বিক্রি করা যেতে পারে।
তিনি আরও যোগ করেছেন, আমাদের মনে হচ্ছে এটা কাজ করবে। আশা করি এটা কাজ করবে। এটা পরীক্ষা করা খুব ছোট একটি বিষয় এবং আমি আশা করি এটি এই সপ্তাহের মধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাজারে আসবে।
অদূর ভবিষ্যতে লোকেরা এমন কোনও পরীক্ষার অর্ডার করতে সক্ষম হবে যা তারা নিজেরাই পরীক্ষা করতে পারে বা পরিচালনা করতে পারে। এটা জাস্ট তাদের হাতের আঙুলে ছোট্ট একটা ছিদ্র করেই করা সম্ভব। এবই খুবই সহজ।
এটা কয় দিনের মধ্যে বাজারে পাওয়া যেতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা কয়েক দিনের মধ্যে বাজারে আসতে পারে। আবার এক সপ্তাহ কিংবা এক মাসও লাগতে পারে।
সেরা নিউজ/আকিব