স্টাফ রিপোর্টার:
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারাদেশে সর্বনিম্ন।
ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। তীব্র ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন। গতকাল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও আজ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শনিবার কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি সারাদেশের মধ্যে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এই মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।
কুয়াশার চাদর ভেদ করে দেরিতে সূর্যের দেখা মিললেও তীব্র ঠান্ডার কারণে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা এখনও খুব বেশি নয়। উপজেলা মেডিকেল টিম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।
হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বন্যায় বসতবাড়ি হারানো কয়েক হাজার মানুষ অসহায় জীবনযাপন করছেন খোলা আকাশের নিচে। শীতবস্ত্রের অভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে জেলার চরাঞ্চলের সাড়ে চার শতাধিক মানুষ।
একটু উষ্ণতা পাওয়ার আশায় গ্রামাঞ্চলের শীতবস্ত্রহীন মানুষ তাকিয়ে থাকছেন সূর্যের আলোর দিকে। সারাদিন ঠান্ডার তীব্রতার কারণে হাটবাজারেও লোকসমাগম অনেকটাই কম দেখা গেছে।
সেরা টিভি/আকিব