অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের কলম্বাসে আবারও এক নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে মার্কিন পুলিশ। কয়েক মাস আগে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক যুবককে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। সেই মৃত্যুর প্রতিবাদে ঝড় উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। কৃষ্ণাঙ্গ এ যুবককে খুন করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সামিল হলো সেদেশের বড় অংশের মানুষ। এ মাসে এই নিয়ে দু’জন কৃষ্ণাঙ্গকে খুন করেছে পুলিশ।
সোমবার তাকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। তার নাম আন্ড্রি মরিস হিল (৪৭)। ওইদিন রাতে বাড়ির গ্যারেজে ছিলেন তিনি। তখন তাকে পরপর গুলি চালিয়ে মেরে ফেলে এক পুলিশ কর্মকর্তা। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গেছে, মরিস ওই অফিসারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার এক হাতে ধরা ছিল মোবাইল। অন্য হাতে কিছু ছিল কি না, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। তবে পরে জানা যায়, তার কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না।
কলম্বাস পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা অ্যাডাম কয়েরের মনে হয়েছিল মরিসের হাতে বোধহয় কোনো অস্ত্র রয়েছে। আর তাই তিনি আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়ে দেন। কলম্বাসের পুলিশ কর্মকর্তা টমাস কুইনল্যান জানিয়েছেন, ওই পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করা হবে। বিনা কারণে এক নিরপরাধ মানুষের প্রাণ চলে গেছে জানিয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশও করেছেন। প্রসঙ্গত, স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর আগেও এ ধরনের অতিরিক্ত সক্রিয়তা দেখিয়েছিলেন অভিযুক্ত অফিসার। এর আগে ৪ ডিসেম্বর কেসি গুডসন নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক স্যান্ডউইচ হাতে বাড়ি ফেরার সময় তাকে গুলি চালিয়ে মেরে ফেলে পুলিশ। পরে জানা যায়, তার হাতের স্যান্ডউইচকে আগ্নেয়াস্ত্র ভেবে ভুল করেছিল তারা।
এই দুই হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আমেরিকার রাস্তায় দেখা যায় মিছিল। ‘ব্লাক লাইভস ম্যাটার’ লেখা পোস্টার হাতে ছিল তাদের। পুলিশের এই নির্যাতন ও নৃশংসতার বিচার চেয়ে পথে নামে প্রতিবাদীরা। এভাবে বিনা কারণে নিরপরাধ কৃষ্ণাঙ্গদের মেরে ফেলা যে অত্যন্ত বিপজ্জনক তা জানিয়েছেন আইনজীবী বেন ক্রাম্প। তার কথায়, ‘আবারও একজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে দেখে পুলিশ ধরেই নিল তিনি অপরাধী!’ গত মে মাসে জর্জ ফ্লয়েডের গলা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে নৃশংসভাবে তাকে মেরে ফেলে এক পুলিশ অফিসার। ভিডিওতে ওই নির্মমতা দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা বিশ্বের মানুষের। সেই স্মৃতিই যেন আবার ফিরলো বছর শেষে।
সেরা টিভি/আকিব