এস এম সোলায়মান, নিউইয়র্ক:
পারিবারিক বন্ধুর সূত্র ধরে স্থানীয় পুলিশ জানায়, নিহতরা হলেন- ১৯ বছর বয়সী যমজ ভাই ফারহান এবং ফারবিন তৌহিদ, তাদের বড় ভাই তানভীর তৌহিদ (২১), তাদের বাবা-মা ইরেন এবং তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়া তানভীর তৌহিদের নানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অ্যালেন পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যার জন্য দুইভাই দায়ী। মানসিক বিষন্নতা থেকে মুক্তি পেতে তারা এ কাজটি করেছে বলেও প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে। তবে কী কারণে তাওহীদের দুই সন্তান আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। তাদের দেশের বাড়ি পাবনা শহরে বলে প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, ঘটনার আগে ফারহান তৌহিদ ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ সুইসাইড নোট পোস্ট করেছে। এতে সে লিখেছে “ হাই সবাই। আমি নিজেকে এবং আমার পরিবারকে হত্যা করেছি। ” দীর্ঘ ওই সুসাইড নোট ফারহান আরও লিখেছে কীভাবেসে নবম শ্রেণি থেকে মানসিক হতাশার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
ইনস্টাগ্রাম পেজে সুইসাইড নোটে ফারহান তৌহিদ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উল্ল্যেখ করে লিখে , তার বড় ভাই যে মানসিক হতাশার বিরুদ্ধেও লড়াই করছে সে তাকে একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তার ভাই বলেছে, “আমরা যদি এক বছরে সবকিছু ঠিক করতে না পারি তবে আমরা নিজের এবং পরিবারকে হত্যা করব।”
এদিকে ওই পরিবারের বাংলাদেশের কোন জায়গায় বাড়ি এবং তাদের বিস্তারিত পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি স্থানীয় পুলিশ। তবে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছে অ্যালেন পুলিশ বিভাগ।
সেরা টিভি/আকিব