ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
প্রতি ঘন্টায় তীব্র গতিবেগ বাড়ছে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এটি প্রচন্ড ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। বুধবার সকালে এটি উড়িষ্যার ভদ্রক জেলার ধামরা বন্দরের কাছে তীব্র গতিতে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে।
ঘুর্ণিঝড়ে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে জানমাল ও সহায় সম্পদ রক্ষার জন্য উড়িষ্যায় ৫২টি এবং পশ্চিমবঙ্গে ৪৫টি সহ পাঁচটি রাজ্য এবং একটি ইউটি (ইউনিয়ন টেরেটরি) তে প্রায় ১১৫টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। আগামীকাল এসব এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১৬০ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে ঝড়টির প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এলাকার নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলগুলোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ টপকে ওই পানি প্রবেশ করছে। সুন্দরবনের দুবলার চরসহ জেলে পল্লিগুলোর বেশির ভাগ এলাকা এরই মধ্যে ডুবে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১১০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলাদেশে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে না। এটি পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা উপকূলেই আঘাত করবে। তবে আমাদের এখানে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে।’
সেরা টিভি/আকিব