সেরা নিউজ ডেস্ক:
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারিভাবে যা দেয়া হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যা তার ১০ গুণ বেশি বলে দেশটির শীর্ষ এক মহামারিবিষয়ক গবেষণা সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে। দেশটির ২১টি রাজ্যের ২৯ হাজারের বেশি মানুষের অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় করোনার বিস্তার সম্পর্কে নতুন এই ধারণা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
দেশটির সরকারি মেডিক্যাল গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) বলছে, ভারতে ইতোমধ্যে নভেল করোনাভাইরাসে ৬ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন; যা সরকারি পরিসংখ্যানের ১০ গুণ। খবর আল জাজিরার।
ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে আছে এমন জনসংখ্যার অনুপাত নির্ণয় করার জন্য নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডিগুলোর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এমনটাই অনুমান করেছে তারা।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) মহাপরিচালক বলরাম ভার্গব বলেন, এই জরিপে যা পাওয়া গেল, তা হচ্ছে আগস্টের মধ্যে ১০ বছরেরও বেশি বয়স্ক ১৫ জনের মধ্যে একজনের সারস-কোভ-২ পাওয়া গেছে।
ভার্গব বলেন, গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহুরে বস্তিতে (১৫.৬ শতাংশ) এবং শহরে (৮.২ শতাংশ) ভাইরাসের সংক্রমণের প্রমাণ বেশি পাওয়া গেছে, যেখানে জরিপ করা ৪.৪ শতাংশ অ্যান্টিবডি রয়েছে।
আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ২১টি রাজ্যে ২৯ হাজার জনের কাছ থেকে রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছিল।
নতুন পরিসংখ্যানগুলো প্রথম সেরো জরিপের ফলাফলের চেয়ে অনেকটা ভিন্ন। আইসিএমআর জানিয়েছে, ভারতে প্রায় ৬ কোটি মানুষ মে মাসেই সংক্রমিত হয়েছিল। রাজধানী নয়াদিল্লি এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র মুম্বাইয়ে পরিচালিত আরেকটি অ্যান্টিবডি গবেষণা বা জরিপেও সরকারি সংখ্যার চেয়ে বেশি সংক্রমণের কথা বলেছে।
সেরা নিউজ/আকিব