স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ-টু-আই ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এটি বানিয়েছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরুর দুই সপ্তাহ আগে অ্যাপটি সবার জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে অধিদপ্তরের।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জাতীয়ভাবে টিকাদানের খসড়া পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রাথমিকভাবে দেশে তিন কোটি টিকা আসবে। এর মধ্যে দেড় কোটি মানুষকে দুটি করে টিকার ডোজ দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ১৮ বছরের নিচে কাউকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেই অধিদফতরের।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামনের সারির যোদ্ধারা আগে টিকা পাবেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোভিড-১৯ রোগীদের সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী ও সমাজকর্মী, পুলিশসহ সম্মুখসারিতে থাকা কর্মী এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল রোগীরা, বয়স্ক, স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে এমন বয়স্ক মানুষ, শিক্ষাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মী, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, গণপরিবহনের কর্মীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়ার নিবন্ধনের নিয়ম
* অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপল দুই স্টোরেই অ্যাপটি পাওয়া যাবে। যেকোনও স্মার্টফোনে এটি ডাউনলোড করতে হবে।
* অ্যাপ ডাউনলোডের পর করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আগ্রহীরা মোবাইল ফোন নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।
* টিকাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ব্যক্তিদেরও নিবন্ধন করতে হবে।
* নিবন্ধনের জন্য প্রত্যেককে নাম, জন্মতারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পেশা, শারীরিক জটিলতাসহ বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।
* প্রত্যেক ব্যক্তি করোনাভাইরাসের দুটি করে ডোজ পাবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের বিস্তারিত তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে।
* কোন মাসে কার কার বা কোন শ্রেণিপেশার মানুষ টিকা পাবেন তা প্রতি মাসে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর মোবাইল অ্যাপে নিবন্ধন করতে পারবেন আগ্রহীরা।
* নিবন্ধিত ব্যক্তিদের তালিকা অনুযায়ী কবে ও কখন কাকে টিকা দেওয়া হবে, কোথায় ও কোন সময় তারা টিকা পাবেন, সবকিছু ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী নির্ধারিত কেন্দ্রে হাজির হয়ে টিকা নেওয়া যাবে।
সেরা টিভি/আকিব