স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের আজ চতুর্থ দিন। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ। শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কগুলো যথেষ্ট ফাঁকা। যেসব সরকারি ও গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পরিবহণে অফিসিয়াল পরিবহণের পাশাপাশি চলছে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি। বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালাচ্ছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। অবশ্য অলি-গলিতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি এখনও অনেকটাই উপেক্ষিত।
তবে, গণপরিবহণ না থাকায় জরুরি কাজে গন্তব্যে পৌঁছাতে সাধারণ মানুষ ব্যবহার করছেন রিকশা। সড়কগুলোতে রিকশা চলাচল লক্ষনীয়। অনেক অফিসই কর্মীদের যাতায়াতের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থা রেখেনি। ফলে সহজলভ্য পরিবহণ রিকশাই অনেকটা ভরসা। কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলতে দেখা গেছে। এর প্রেক্ষিতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা পাওয়াটা অনেকটাই সোনার হরিণ পাওয়ার মত হয়ে গেছে। এ সুযোগে রিকশা চালকরা ভাড়া নিচ্ছেন দ্বিগুণের বেশি।
বিধিনিষেধের প্রথম ৩ দিনে বিভিন্ন সড়কে রাস্তায় বেষ্টনি দিয়ে যান চলাচল বন্ধের যে দৃশ্য দেখা গিয়েছিলো, কিছুটা কমানো হলেও অনেক জায়গাতেই এখনো বেষ্টনি দিয়ে রেখেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। আর তল্লাশি চৌকিতে প্রত্যেকটি যানবাহন থামিয়ে মুভমেন্ট পাস আছে কিনা জানতে চাইছেন পুলিশ সদস্যরা। যারা পাস দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাদেরকে জরিমানা করে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। কয়েকটি স্থানে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে রিকশা উল্টে রাখা ও অটোরিকশা আটক করার দৃশ্য দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে ৮ দিনের ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ শুরু হয়েছে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই লকডাউনে চলাচলে বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে রয়েছে সিভিল প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সেরা টিভি/আকিব