স্টাফ রিপোর্টার:
গরমে পুড়ছে গোটা দেশ। রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় আবহাওয়া অধিদফতর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আরও অন্তত ৪৮ ঘন্টা এই তাপপ্রবাহ চলতে পারে। তবে এর পরের ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সময় কালবৈশাখী হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ওই সময় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে সোমবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। সেখানে ব্যারোমিটারের পারদ উঠেছে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরআগে রোববার যশোরে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। আগেরদিন শনিবারও সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে। সেই হিসাবে গরমের তীব্রতা সোমবার কিছুটা কমেছে। কিন্তু তাপপ্রবাহের ব্যপ্তি এদিন বেড়েছে। অর্থাৎ, তাপপ্রবাহ আরও নতুন নতুন এলাকায় বিস্তৃত হচ্ছে। আগের কয়েকদিন উত্তর এবং উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে এই পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, প্রায় সারাদেশেই তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও ঢাকায় অনুভূতিটা একটু বেশি। এর কারণ ৬টি। তা হচ্ছে, দিনের ব্যপ্তিকাল রাতের তুলনায় বড় হওয়ায় রাত তাপ বিকিরণ করে ধরণী ঠান্ডা করতে পারে না; সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কম; অতিমাত্রায় এসির ব্যবহার; গাড়ির কার্বন বা কালো ধোঁয়া; ঢাকার আশপাশের ইটভাটার কার্বন; ঢাকা কেন্দ্রিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিঃসরিত দূষিত পদার্থ। সূর্য মানবসৃষ্ট কারণগুলোকে আরও প্রভাবিত করায় গরম তুলনামূলক বেশি অনুভূত হচ্ছে।
তিনি বলেন, তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় অনেকটা রক্ষা। নইলে মানুষের অনেক ঘাম হতো। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো।
সেরা টিভি/আকিব