লাইফস্টাইল ডেস্ক:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের মধ্যে শতকরা ৯৮ শতাংশের বেশি নারী, তবে খুব অল্প সংখ্যক পুরুষও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। জিন, পরিবেশসহ বিভিন্ন কারণে স্তন ক্যান্সার হতে পারে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের একটি গবেষণায় পারমানেন্ট হেয়ার ডাইকে স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী করা হয়েছে।
২০১৯-এর ডিসেম্বরে অনলাইনে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ক্যান্সারের রিপোর্টে বলা হয়, পারমানেন্ট হেয়ার ডাই নারীদের স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা প্রায় ৯ শতাংশ বাড়িয়ে তোলে।
বিশেষ করে, আফ্রিকা ও আমেরিকার নারীরা এ কারণে বেশি স্তন ক্যান্সারের সমস্যায় ভোগেন বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, যে নারীরা প্রতি ৫ থেকে ৮ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় পর পর পারমানেন্ট হেয়ার ডাই করেন তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬০ শতাংশ বেড়ে যায়। তবে সেমি পারমানেন্ট বা টেমপোরারি ডাই কখনওই এর মধ্যে পড়ে না। এগুলো ব্যবহারে ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়বে না। গায়ের রং কালো হলে পারমানেন্ট হেয়ার ডাই-এ ৬০ শতাংশ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। গায়ের রং ফর্সাদের এক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়বে ৮ শতাংশ।
তবে কি পারমানেন্ট ডাই-এ ব্যবহারকারী কেমিক্যাল একেবারেই নিষিদ্ধ করা উচিত? বিশেষজ্ঞরা তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও, এ নিয়ে বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
একইসঙ্গে বলা হয়েছে, যারা প্রতি ৫ থেকে ৮ সপ্তাহে চুল স্ট্রেট করান তাদেরও ৩০ শতাংশ বেশি স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা রয়েছে। ভারতীয় ত্বক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতীয়দের চামড়ার রং যেহেতু বাদামি, সেক্ষেত্রে নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি পুরোপুরি মুক্ত বলা যাচ্ছে না। এ ধরনের কেমিক্যাল থেকে নিজেদের শরীরকে মুক্ত রাখাই ভালো।সূত্র: এইসময়
সেরা নিউজ/আকিব