নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-৩২ নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দৌড়ে থাকা ৮ জনের মধ্যে অন্যতম ফেলিসিয়া সিং। অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তান ফেলিসিয়া বেড়ে উঠেছেন বিভিন্ন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। ফলে শ্রমিক শ্রেণির নানান কর্মকান্ড ও অবহেলিত হওয়ার প্রত্যক্ষদর্শীও তিনি। নিউইয়র্ক সিটির দীর্ঘদিনের বাসিন্দা ফেলিসা তার পরিবারের মধ্যে প্রথম যিনি হাইস্কুল এবং কলেজে ডিগ্রী অর্জন করেন। সাহসিকতা, সহমর্মিতা এবং জনসেবার মর্যাদা মাথায় রেখে ফেলিসার কর্মজীবন স্থাপিত হয়েছে সমাজের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি নিয়ে।
যার উদাহরণের মধ্যে পরে চীন-এ পিস কর্পস-এর সাথে তার স্বেচ্ছাসেবক কাজকর্ম, ভোটার নিবন্ধন চালনা ও ‘আওয়ার নেইবার্স সিভিক এসোসিয়েশন’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন সমাজ সেবা পরিকল্পনার নেতৃত্ব নেওয়া এবং ‘এমপ্লিফাই হার ‘ সংগঠনের কুইন্স বরো ডিরেক্টর হিসেবে ভূমিকা পালন করা।
ঠিক কি কারনে শিক্ষক ফেলিসা সিং রাজনীতিতে আসলেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমি একজন শিক্ষিকা এবং দুইজন শ্রম-শ্রেণির অভিবাসীর গর্বিত মেয়ে। নিউইয়র্ক কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট ৩২-এ ন্যায়বিচার আনতেই আমি ইলেক্শনে দাঁড়িয়েছি।
আমার বড় হয়ে ওঠাঠা বিভিন্ন শ্রেণি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। প্রত্যেক মাসের বেতন অনুযায়ী জীবন চালানোর অনিশ্চয়তা সম্পর্কে আমি জানি। বাড়তি ঋণ ও অস্থিতিশীল চাকরির মুখেও আমার বাবা-মায়ের সংকল্প আমার মনোবল তৈরি করে। যখন আমার বোন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়, তখন আমি প্রিয়জনের শারীরিক অসুস্থতার মুখে যেই অসহায়ত্ব তৈরি হয় তা অনুভব করি। তখন আমাদের কমিউনিটির সম্মিলিত শক্তি আমাকে অনুপ্রাণিত করে, যখন দেখতে পাই যে সাধারণ নাগরিকরা তাদের প্রতিবেশীর প্রয়োজনে সহায়তা করতে একত্রিত হয়।
কাজ করেছি সে সকল কাঠামোগত বাধা-বিভেদ চিহ্নিত করতে যা আমাদের কমিউনিটিকে উন্নতি থেকে বঞ্চিত রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আন্তে যা সকল প্রয়োজনীয় স্টেকহোল্ডারস ও তহবিল দরকার তার আহ্বান জানাতে।
আমাদের ডিস্ট্রিক্ট এবং পাঁচ বোরো জুড়ে হাজারো পরিবারের এমন প্রতিনিধি প্রাপ্য যারা কিনা তাদের উন্নতির পথে যেসকল বাধা আছে সেগুলো স্বীকার করবে, এবং তা নিয়ে যা করেনি সেটা করে দেখানোর সাহস রাখে।
আমি আজ যেখানে আছি তার পুরোটাই আমার কমিউনিটির ফলাফল, এবং আপনাদের ডিস্ট্রিক্ট-৩২ এর কাউন্সিল সদস্য হিসেবে আপনারা আমার উপর ভরসা রাখতে পারবেন, যে এমন একজন আছে যে আপনার ও আপনার প্রিয়জনদের জন্য সিটি কাউন্সিলে লড়াই করবে।
তবে নির্বাচনী লড়াইয়ে দলীয় মনোনয়ন পেতে পোড়াতে হবে কাঠখড়। কেননা ডিস্ট্রিক্ট-৩২ আসনে ভোটারদের সিংহভাগ ডেমোক্র্যাট হওয়া স্বত্ত্বেও অনৈক্য থাকায় রিপাবলিকানদের দখলেই গেছে গত ৩ বারের নির্বাচনে। ১ লাখ
এই এলাকায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৮ অধিবাসীর ২৬% বাংলাদেশিসহ এশিয়ান, ২৫% হিসপ্যানিক, ২৪% শ্বেতাঙ্গ, ১৫% কৃষ্ণাঙ্গ, ও অন্যান্য অধিবাসী রয়েছে ১০%।
তাই বাংলাদেশি, ভারতীয়, ইন্দোক্যারিবিয়ান ভোটারদের মন জয় করতে পারলেই পাওয়া যাবে দলীয় মনোনয়ন। তবে রাজনীতির মাঠে কোথাকার বল কার অনুকূলে গিয়ে দাঁড়ায় তার দিকেই তাকিয়ে সাধারণ ভোটাররা।
সেরা টিভি/আকিব